পিরোজপুর প্রতিনিধি:-
পিরোজপুরের নাজিরপুরে জমি-জমার বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে হামলা করে মুদি দোকান ও নির্মাণাধীন একটি পাকা ভবন ভাঙচুর করে। এ সময় উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের তারাবুনিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় আহতরা হলেন, ফাতেমা বেগম (৪২), তার স্বামী জাকির হোসেন শেখ (৬২),মাফিজুর রহমান (৪২), হাফিজুর রহমান (৪৭), মোঃ মাহমুদুল হাসান শেখ (২০), মোঃ ফজলুর রহমান শেখ (৬০),মোঃ ইব্রাহিম শেখ (৩৮), মোঃ রেদোয়ান ফকির (১৩) এবং হামলায় বাধা দিতে গিয়ে স্থানীয় বাবু শেখ নামে আরও একজন আহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে গুরুতর আহত ফাতেমা বেগম,তার ভাই মাফিজুর রহমান, হাফিজুর রহমান এবং ছেলে মাহমুদুল হাসান কে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে, বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ সময় হামলা করতে আসা প্রতিপক্ষের রুহুল আমীন শেখ (৩৮),তার মা আকলিমা বেগম (৫৫) এবং ভাই মেরাজ শেখ (৪০) আহত হয়ে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হামলায় আহত মুদি দোকান ব্যবসায়ী ও জমির মালিক জাকির হোসেন শেখ এই প্রতিবেদককে জানান, রোববার সকালে হঠাৎ করে আমার প্রতিবেশী আকরাম শেখ ও রুহুল শেখের নেতৃত্বে পার্শ্ববর্তী বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলা ও স্থানীয় ৪০-৫০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে আমার দোকানে হামলা করে দোকান ভাংচুরসহ আমার ছেলেকে মারধর করে দোকানের ক্যাশে থাকা টাকাপয়সা নিয়ে যায়।পরবর্তীতে তারা তাদের অনেকের হাতে থাকা হ্যামার দিয়ে দোকানের পাশে থাকা একটি নির্মাণাধীন পাকা ভবনে ভাঙচুর করে গুড়িয়ে দেয়। আমরা বাধা দিতে আসলে তারা আমাদের উপর মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে বেধরক পিটাতে থাকে হামলাকারীরা।এ সময় স্থানীয় লোকজন আমাদের উপর এই হামলা ঠেকাতে আসলে হামলাকারীরা স্থানীয় বাবু শেখ নামের এক জনকেও বেধম মারধর করা হয় বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে মাটিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদুল ইসলাম বিলু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জাকির শেখে তাদের জমিতে পাকা ভবন নির্মাণ করতেছে । সেখানে তাদের প্রতিপক্ষের লোকজন অতর্কিত হামলা করেছে বলে শুনেছি।
এসময় হামলাকারী আকরাম শেখ নির্মাণাধীন পাকা ভবন ভেঙ্গে ফেলার কথা স্বীকার করে বলেন , এই জমি তাদের এবং এটা নিয়ে কোর্টে মামলা চলমান। তাদের ভবন নির্মাণে বাধা দিলে তারা মানেনা। স্থানীয় তহশিলদার ও প্রশাসনের লোকজন ও আমাদের কথা শোনে না তাই সেখানে থাকা স্থাপনা ভেঙে ফেলেছি।
এ বিষয়ে নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ঘটনাটি শুনেছি এবং অভিযোগ পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পিরোজপুর সংবাদদাতা
Leave a Reply