সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোরে স্কুল শিক্ষিকার সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমের সূত্র ধরে এক প্রতারক ১৮ লাখ হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ঘটনায় প্রতারণার শিকার ওই স্কুল শিক্ষিকা বাদি হয়ে প্রতারক প্রেমিক নাজির হোসেনকে (৩৭) অভিযুক্ত করে রোববার দুপুরে তানোর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ বিকেলে তানোর থানা মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, তানোর উপজেলার মালশিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জৈনক এক সহকারী শিক্ষিকার সঙ্গে এক বছর আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় তানোর উপজেলা কলমা ইউনিয়নের কলমা গ্রামের আব্দুল হামিদের পুত্র নাজির হোসেনের। সেই থেকে তাদের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে কথা হয়। নাজির হোসেন তার পরিচয় দেন তিনি খুলনা মংলাবন্দর কাস্টম অফিসার। তিনি অবিবাহিত।
ওই স্কুল শিক্ষিকা একজন ডিভোর্সপ্রাপ্ত শিক্ষিকা জানার পরও এক পর্যায়ে নাজির হোসেন ওই স্কুল শিক্ষাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন সময় লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। সর্বশেষ ওই শিক্ষিকার কাছ থেকে জমি ও পুকুর এবং মোটরসাইকেল কেনার নামে গত ৩ মার্চ তানোর ভূমি অফিসের সামনে ৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। বিভিন্ন কৌশলে সব মিলে প্রায় ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে নাজির।
প্রতারণার শিকার ওই স্কুল শিক্ষিকা বলেন, নাজির হোসেনের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয়। সে অবিবাহিত ছেলে এবং কাষ্টম অফিসার পরিচয় দেন। আমি প্রথমেই তাকে জানিয়ে দিয়েছি আমি ডিভোর্সপ্রাপ্ত মেয়ে। সে বিভিন্ন কৌশলে আমার কাছ থেকে ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার মতিগতি দেখে আমি ২০ এপ্রিল আব্দুর মতিনের কাজি অফিসে গিয়ে আমি বিয়ে করি। সেই দিনই আমি আমার বাবার বাড়িতে একা চলে আসি। গত ২৫ এপ্রিল সে আমাকে ডাক যোগে আমার স্কুলে ও বাবার বাড়ির ঠিকানায় ডিভোর্সপত্র পাঠায়।
খোজ নিয়ে জানতে পারি সে পূর্বে আরো ২টি বিয়ে করেছে। সে এলাকায় ঠকবাজ ছেলে বলে পরিচিত। সবকিছু জানার পর আমি আমার ১৮ লাখ টাকা চাইলে নাজির হোসেন আমাকে ভয় ভীতিসহ আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
তানোর থানা ওসি আব্দুর রহিম বলেন, নাজির হোসেন ইতোপূর্বেও ২টি বিয়ে করেছেন। সে একজন ঠক প্রকৃতির ব্যক্তি। ওই স্কুল শিক্ষিকার সঙ্গে প্রেমেরে সম্পর্ক গোড়ে তুলে বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে লাখ লাখ হাতিয়ে নেয়। থানায় মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানান ওসি।
Leave a Reply