সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোরে অবৈধ লটারি জুয়া আয়োজনের অভিযোগ উঠেছে। যে আসরে মানুষ নিঃস্ব হয় সেই আসর বসানো হচ্ছে উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের (ইউপি) জুমারপাড়া গ্রামে।স্থানীয়রা জানান,বাধাইড় ইউপি সদস্য (মেম্বার) মুকুল হোসেনের পৃষ্ঠপোষকতা ও জুমারপাড়া যুব ক্লাবের উদ্যোগে এই অবৈধ লটারি জুয়া আয়োজন করা হয়েছে। ইদ উপলক্ষে এই লটারি জুয়ার আয়োজন করা হচ্ছে। গত ১ জুন থেকে ৫টি ব্যাটারিচালিত অটো গাড়িতে মাইক বাজিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত্য লটারির টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব লটারির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে রাতারাতি ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখানো হলেও মূলত আয়োজকরা জম্পেশ জূয়া বাণিজ্যে করছে। জুমারপাড়া গ্রামের রঞ্জন মাহাতো ও ইমন আলী বলেন, মেম্বার মুকুলের পৃষ্ঠপোষকতা তারা একদিনের লটারি আয়োজন করেছেন।
এদিকে মাত্র কুড়ি টাকার টিকেটের বিনিময়ে, মোটর বাইক, ফ্রিজ, ছাগল ও মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন পুরুস্কার দেয়া হবে। আর মাত্র ২০ টাকায় এসব লোভনীয় পুরুস্কার পেতে টিকেট সংগ্রহে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশা বিশেষ করে নিম্ন আয়ের নারী-পুরুষ এমনকি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। এতে প্রতিদিন লট্রারির প্রায় লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হলেও সামান্য ব্যয় হবে পুরুস্কারে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
সচেতন মহলের অভিমত, মাত্র কুড়ি টাকা মূল্যর লট্রারি কিনে রাতারাতি বিত্তশীল হবার আশায় লট্রারি জুয়ার প্রলোভণের ফাঁদে পা দিয়ে কেউ কেউ এক সঙ্গে অনেক টিকেট কিনে নিঃস্ব হবে। এতে হয়তো অনেক হতদরিদ্রদের সংসার ভাঙ্গার উপক্রম হবে, সৃষ্টি হবে দাম্পত্য কলহ-বিবাদ এর দায় নিবে কে ? কারণ এর আগে আলোর ভূবন লটারি দুই দিনে প্রায় কোটি টাকার টিকিট বিক্রি করে পুরুস্কার না দিয়েই পালিয়েছে
জানা গেছে, রাজশাহী-১ নির্বাচনী এলাকার সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরী তার নির্বাচনী এলাকায় যাত্রা-সার্কাস-পুতুল নাচের নামে অশ্লীল নৃত্য, ও লট্রারি জুয়াসহ সব ধরণের অশ্লীলতা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সর্ব মহলে প্রসংশিত হয়েছেন। অথচ তার এলাকায় হঠাৎ প্রকাশ্যে লট্রারি জুয়ার টিকিট বিক্রি করছে এটা কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তারা এর সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেছেন
এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে তারা তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলায় এসব অবৈধ লট্রারি জুয়ার টিকিট বিক্রি বন্ধের দাবি করে রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও রাজশাহী পুলিশ সুপারের(এসপি) জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে বাধাইড় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, বিষয়টি তার জানা নাই।তিনি বলেন, এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে। এবিষয়ে জানতে চাইলে বাধাইড় ইউপি সদস্য(মেম্বার) মুকুল হোসেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
Leave a Reply