ফরহাদ হোসেন, সাভার প্রতিনিধি:
শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় আবারও কিশোর গ্যাং সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ছোট ভাইকে আটকে রেখেছে শুনে বড় ভাই তাকে বাঁচাতে গেলে গ্যাং সদস্যদের হাতে প্রাণ দিত হলো বড় ভাইকে। তবে ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে এখন পর্যন্ত আটক করতে পারেনি পুলিশ।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. গিয়াস উদ্দিন। এর আগে, শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর কাঁঠালবাগান বালুরমাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুলাইমান (১৮) নীলফামারী জেলার ডিমলা থানার দক্ষিণ সুন্দরখাতা গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার ডেন্ডাবর কাঠালবাগান এলাকায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া থেকে আব্দুল্লাহ আল রাহাত ফেব্রিক্স নামের একটি কারখানায় কাজ করতেন।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকালে কয়েকজন মিলে কাঁঠালবাগান এলাকার বালুর মাঠে খেলা করছিল। সেখানে সেলিম নামেরও একজন ছিল। তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং একপর্যায়ে সেলিমকে মারধর করে আটকে রাখে কয়েকজন। বিষয়টি জানতে পেরে সেলিমের বড় ভাই সুলাইমান কয়েকজনকে সাথে নিয়ে সেখানে যান।
এ সময় বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে সুলাইমানকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে রাখে। পরে তাকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা আব্দুল লতিফ বলেন, সন্ধ্যা বেলা ছোট ছেলে সেলিমকে মারধর করেছে এলাকার কিশোর গ্যাং সদস্য আরিফ, রিয়ান, সজীব, জীবন, সুহান, রাজন, জিতু পারভেজ, ইয়াছিন, তামিম, কাউছার, আমিন ও অপূর্বসহ আরো বেশ কয়েজন। খবর পেয়ে বড় ছেলে সুলাইমান সেখানে যায়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বড় ছেলে সুলাইমানের ওপরও হামলা চালায়। হামলায় সে মারা যায়।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, মরদেহ ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কে কে জড়িত তাদের কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। অপরাধীদের দ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে।
Leave a Reply