লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের খলাইঘাট
মৌজার ৪৮ শতক জমি ক্রয় নিয়ে সেই এলাকার বাসিন্দা জনৈক মহাসিন আলীর মিথ্যা সাক্ষীসহ
দায়ের করা এক মিথ্যা মামলায় ফাঁস হয়ে গেছে তারই প্রতারকচক্রের প্রতারণার কাহিনী।
অভিযোগ উঠেছে, মহাসিন আলী ও তার স্ত্রী আরজিনা বেগম, লালমনিরহাট সদর থানার
রাজপুর ইউনিয়নের খলাইঘাট মৌজার ৪৮ শতক জমির ক্রেতা সেজে ৭ (সাত লক্ষ) টাকা
জমির মূল্য লিখে হাতে লিখিত একটি জমি ক্রয়ের ষ্ট্যাম্প চুক্তিনামা তৈরী করেন। অতঃপর
মহাসিন আলী রংপুর শহরের সেন্ট্রাল রোড নিবাসী জমির মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মোঃ
সফি ওরফে সৈয়দ উদ্দিন ও তার দুই ভাই-নূরুজ্জামান ও আসাদুজ্জামান এর নিকট গিয়ে
তাদেরকে কোন টাকা-পয়সা না দিয়ে বরং জমি মাপজোকের পর টাকা প্রদানের অঙ্গীকার করে
গত ২৯/০৩/২০২১ইং তারিখে চুক্তিনামায় তাদের স্বাক্ষর গ্রহণ করেন। কিন্তু এরপর মহাসিন
আলী, জমি মাপজোক করে দখলে নেয়ার পরও জমির মালিকগণকে কোন টাকা না দিয়ে উল্টো
জমি না পাওয়ার মিথ্যা কাহিনী তৈরী করেন ও মিথ্যা সাক্ষীসহ লালমনিরহাটের বিজ্ঞ অতিরিক্ত
চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, আমলী আদালতে ফৌঃ কাঃ বঃিআইনে জমির মালিকগণের বিরুদ্ধে
দায়ের করেন এক মিথ্যা মামলা; যার নম্বর সি আর-৩৬৫/২১। মহাসিন আলীর মামলার কাহিনী
হলো- ৭ (সাত লক্ষ) টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করে জমি মাপজোক করতে গেলে, স্থানীয় মার্কাস
মসজিদ কমিটি ও বালাপাড়া মসজিদ কমিটি তাকে বাধা দেয় এবং তারা জানায়, জমির
মালিকগণ নাকি পূর্বে উক্ত জমি মসজিদ কমিটিকে দানপত্র লিখে দিয়েছেন। এরূপে মহাসিন
আলী জমি না পাওয়ার মিথ্যা কাহিনী তৈরী করেন ও উল্টো জমির মালিকগণের কাছে ৭ (সাত
লক্ষ) টাকার দাবী করে মামলা দায়ের করেন। অথচ সাংসবাদিকগণ সরেজমিনে তদন্তে জানতে
পারেন যে, মহাসিন আলী উক্ত জমি এযাবত ভোগদখল ও চাষাবাদ করছেন এবং কোন মসজিদ
কমিটি মহাসিন আলীকে কোন প্রকার বাধা প্রদান করে নাই। কারণ জমির মালিকগণ দুই মসজিদ
কমিটিকে দানপত্র করেন ভিন্ন পারুলিয়া মৌজার ভিন্ন খতিয়ানের জমি যাহা মসজিদ কমিটি
এযাবত ভোগদখল করছেন।
মহাসিন আলীর কাছে আরো তথ্য জানার জন্য মুঠো ফোনে একাধিক বার ফোন করলে সে ফোন রিসিভ করে নাই।
Leave a Reply