বেরোবি:-
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। এ সময় বিতর্কিত ও আবু সাঈদ হত্যার দোসরদের সম্মাননা দেয়া হলে তিনি বলেন, আমি সম্মাননা স্মারক প্রত্যাখ্যান করলাম। আমি জানতাম না যাদেরকে সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়েছে তারা বিতর্কিত। আবু সাঈদ হত্যার দোসর। আমি আবার আসবো বেরোবিতে। আমার সম্মাননা স্মারক নিবো যেদিন দেখব যে আবু সাঈদের হত্যাকারী ও দোসরদের বিচার হয়েছে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মঞ্চে তিনি এসব কথা বলেন ।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কমলেশ চন্দ্র এবং ছাত্র আন্দোলনের সময় লিখনির মাধ্যমে বিরোধিতা করা বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শফিক আশরাফকে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হলে ছাত্রজনতা এর বিরোধিতা করে।
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা বলেন, এ সরকারের বয়স মাত্র দুই মাস, আমাদের একটু সময় দিতে হবে। দেশে আইন-শৃঙ্খলা সংস্কারসহ বেশকিছু ইস্যু আছে। আহতদের চিকিৎসায় কাজ করছি, ধীরে ধীরে সব বিষয়ে কাজ শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, পরাজিত পতিত ফ্যাসিবাদ রাজপথ থেকে পরাজিত হয়ে এখন অনলাইনে শক্তি প্রদর্শন করছে। ফেসবুকে প্রচুর গুজব রটানো হচ্ছে, ফেক আইডি খুলে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। আমরা যেন মিথ্যা তথ্য ও গুজবে বিশ্বাস না করি।
ভারতের মিডিয়ায় বাংলাদেশ ইস্যুতে অপপ্রচার নিয়ে নাহিদ বলেন, ভারত চায় যে বাংলাদেশে উগ্রবাদ চলছে সেটা দেখাতে। তাদের দেশে যে উগ্রবাদ আছে সেটি পুষ্ট হয় মূলত সে ধরনের অপপ্রচার সবসময় ছিল।
এ উপদেষ্টা বলেন, রংপুর বারবারই অবহেলিত ছিল। এখানে কম বাজেট দেওয়া হয় এবং তার দ্বিগুণ-তিনগুণ বাজেট দেওয়া হয় গোপালগঞ্জে। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই ছিল। প্রধান উপদেষ্টা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আমরা সে অনুযায়ী কাজ করছি। রংপুরের প্রতি যে অবহেলা বৈষম্য সেটি আমরা অবশ্যই দূর করব এবং রংপুরকে বাংলাদেশের উন্নত জেলা ও বিভাগ হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
তিনি বলেন, আবু সাঈদ যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং যে বিশ্ববিদ্যালয় গণঅভ্যুত্থানের লড়াই শুরু করেছে সে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক অবহেলিত থাকবে না তাদেরকে সর্বাত্মক অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
উক্ত বিষয়ে বেরোবি উপাচার্য ড. শওকত আলী বলেন, আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। শিক্ষার্থীরা আমাকে বলেছে আপনি দুই মাসের কাজ এক মাসে করে ফেলেছেন। আবু সাঈদ হত্যার বিষয়ে তিনি আশ্বাস দেন আমি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি এবং সকলের তথ্য সংগ্রহ করেছি । আশা করি এক সপ্তাহের মধ্যে আবু সাঈদ হত্যার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। ইতিমধ্যে আমরা একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করেছি, আবু সাঈদ হত্যার দোসর যে সকল শিক্ষার্থী ছিল তাদেরকে কোনমতেই পরীক্ষায় বসতে দেয়া হয়নি।
উল্লেখ্য,বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করবেন তিনি। এরপর বিকেলে ছাত্র সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনাসভা শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হবেন।
Leave a Reply