1. info@www.janatarkatha24.com : admin :
  2. emon@frilix.com : Emon Hasan : Emon Hasan
  3. editormrahman80@gmail.com : Mizanur Rahman : Mizanur Rahman
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
নড়াইলে হাতকড়া পরা অবস্থায় আসামি বিল্লাল শেখ কে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ নিউটন বাহিনীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে নারী জেলা প্রশাসক ২৫২ বছরের ইতিহাসে প্রথম নড়াইলে ব্যারিকেড ভেঙে পালানোর চেষ্টায় যুবকের কারাদণ্ড ও জরিমানা শেরপুরে নৃ জনগোষ্ঠী গারোদের অন্যতম ওয়ানগালা উৎসব অনুষ্ঠিত নড়াইলে মাদক মামলায় এক নারীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড সিএমপির অভিযানে মোটরসাইকেলসহ আটক-১ শেরপুরে জাল দলিলে জমি দখলের পায়তারা ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারে বিডি ক্লিনের বীচে পরিচ্ছন্নতা অভিযান সিএমপির অভিযানে পিস্তল গুলিসহ অস্ত্রকারবারি আটক-৩ লালমনিরহাটে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ইউপি সদস্যসহ আহত-১০
শিরোনাম:
নড়াইলে হাতকড়া পরা অবস্থায় আসামি বিল্লাল শেখ কে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ নিউটন বাহিনীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে নারী জেলা প্রশাসক ২৫২ বছরের ইতিহাসে প্রথম নড়াইলে ব্যারিকেড ভেঙে পালানোর চেষ্টায় যুবকের কারাদণ্ড ও জরিমানা শেরপুরে নৃ জনগোষ্ঠী গারোদের অন্যতম ওয়ানগালা উৎসব অনুষ্ঠিত নড়াইলে মাদক মামলায় এক নারীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড সিএমপির অভিযানে মোটরসাইকেলসহ আটক-১ শেরপুরে জাল দলিলে জমি দখলের পায়তারা ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারে বিডি ক্লিনের বীচে পরিচ্ছন্নতা অভিযান সিএমপির অভিযানে পিস্তল গুলিসহ অস্ত্রকারবারি আটক-৩ লালমনিরহাটে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ইউপি সদস্যসহ আহত-১০

বোরো মৌসুমেও হুহু করে বাড়ছে চালের দাম!!

রিপোটারের নাম
  • প্রকাশিত : শনিবার, ২৮ মে, ২০২২

 

এস আর,সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধিঃ

দেশে বোরো মৌসুমে বছরের চাহিদার অর্ধেকের বেশি চাল সংগ্রহ হয়। বাজারে চাল উঠতে শুরু করলে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম কমে।

কিন্তু এবার চিত্র পুরোটাই ভিন্ন। বাজারে বোরো ধানের চাল আসার পরও দাম হুহু করে বাড়ছে। পরিস্থিতি এমন হয়েছে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিবস্তা (৫০ কেজি) চালের দাম সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। এতে বাজারে পণ্যটি কিনতে ভোক্তা দিশেহারা হয়ে পড়ছে।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত কয়েক বছর শুধু মিলারদের কারসাজিতে বাজারে চালের দামে অস্থিরতা দেখা দিত। এবার মিলারদের সঙ্গে বড় কিছু কোম্পানি সুযোগ নিচ্ছে। তারা মাঠে ধান পাকার আগেই কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনে রেখেছেন। সেই ধান পাকার পরও তাদের গুদামে মজুত করছেন। পরিস্থিতি বুঝে তারা চাল বাজারে ছাড়ছেন। এতে বাজারে ধান সংগ্রহে কিছুটা সংকট দেখা দেওয়ায় মিলাররা চালের দাম বাড়িয়েছে। যা সরাসরি ভোক্তার ওপর প্রভাব ফেলেছে।

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, হাওড়ে বন্যায় ৮০ হাজার টন চাল নষ্ট হওয়ার পরও এবার বোরো মৌসুমে ২ কোটি ৭ লাখ টনের ওপরে চাল উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) বৈশ্বিক দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদনবিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে গত বছরের তুলনায় এ বছর দেড় লাখ টন চাল বেশি উৎপাদিত হবে। এমন চিত্রের পরও বাজারে চালের দাম বাড়ছে।

শুক্রবার রাজধানীর মালিবাগ কাঁচাবাজারের খালেক রাইস এজেন্সির মালিক ও খুচরা চাল বিক্রেতা . বলেন, প্রতিকেজি মিনিকেট ৬৬-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা দুই সপ্তাহ আগে ৬০-৬৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। নাজিরশাল চাল কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা। যা দুই সপ্তাহ আগে ৭০-৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিকেজি বিআর ২৮ জাতের চাল বিক্রি হয়েছে ৫৫-৫৭ টাকা।

যা আগে বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা। এছাড়া মোটা চালের মধ্যে প্রতিকেজি স্বর্ণা জাতের চাল বিক্রি হয়েছে ৪৮ টাকা, যা আগে ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তিনি বলেন, পাইকারি বাজারে সব ধরনের চালের দাম প্রতি সপ্তাহে বাড়ছে। যে কারণে বেশি দরে এনে বেশি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।

এ দিন রাজধানীর কাওরান বাজারের আল্লাহর দান রাইস এজেন্সির মালিক ও পাইকারি চাল বিক্রেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মিল থেকে প্রতি সপ্তাহে বাড়তি দরে চালের রেট দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বোরো মৌসুমে এমন দাম বাড়ার চিত্র কখনো দেখিনি। এবার প্রথম দেখলাম।

তিনি জানান, মিল মালিকরা আগে দাম নিয়ে কারসাজি করলেও তাদের সঙ্গে বড় কিছু কোম্পানি যোগ হয়েছে। তারা ধান কিনে মজুত করায় বাজারে কিছুটা ধানের সংকট হয়েছে। সেই অজুহাতে মিলাররা চালের দাম বাড়িয়েছে।

তিনি জানান, শুক্রবার পাইকারি পর্যায়ে প্রতি বস্তা মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৩৩০০ টাকা। যা সাত দিন আগে ৩২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর ১৪ দিন আগে ছিল ২৯০০ টাকা। বিআর ২৮ চাল প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছে ২৪০০ টাকা। যা আগে ছিল ২২০০ টাকা। মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা জাতের চালের বস্তা বিক্রি হয়েছে ২৩০০ টাকা। যা আগে ২০৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

মিল পর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে, সেখানে প্রতি বস্তা মিনিকেট ৩২০০ টাকা বিক্রি হয়েছে। যা সাত দিন আগে ৩১০০ ও দুই সপ্তাহ আগে ২৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিবস্তা বিআর ২৮ চাল বিক্রি হয়েছে ২৩৫০ টাকা। যা আগে ২১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। স্বর্ণা চাল প্রতিবস্তা বিক্রি হয়েছে ২১৫০ টাকা। যা আগে ১৯৫০ টাকা ছিল।

বাংলাদেশ হাসকিন মিল মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রশিদ বলেন, বোরোর মৌসুমে দেশে সব সময় চালের দাম কমে। কখনো দেখিনি চালের দাম বেড়েছে। এবার তা দেখতে হচ্ছে। তিনি জানান, বড় কিছু কোম্পানি ধান-চালের অবৈধ মজুত গড়ে তুলছেন। এ কারণে বাজারে চালের দাম বাড়তি।

কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান

বলেন, ধান উৎপাদন মৌসুমে চালের বাজার অস্থির। কিন্তু এটা হওয়ার কথা ছিল না। কেন এমন পরিস্থিতি হয়েছে তা বের করতে হবে। বিশ্ববাজারের সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ীরা যাতে চালের বাজার অস্থির করতে না পারেন সেদিকে নজর রাখতে হবে। কোনো অনিয়ম পেলে কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। মিল থেকে শুরু করে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের বেচাকেনার রসিদ দেখা হচ্ছে। অনিয়ম পেলে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।

জানান, উত্তরবঙ্গে ধানের জেলা হিসাবে পরিচিত বাজারে চালের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। মোটা জাতের চাল কেজিতে ৫-৬ টাকা ও চিকন জাতের চাল ৯-১০ টাকা বেড়েছে। এতে সাধারণ ক্রেতা বিপদে পড়েছেন। গত বুধবার সকালে পাঁচশিরা বাজারে মোটা জাতের প্রতিমন (৪০ কেজি) ধান বিক্রি হয়েছে ৮৫০ থেকে ৮৭০ টাকা আর চিকন জাতের প্রতিমন ধান বিক্রি হয়েছে ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকায়।

অথচ শুক্রবার সকালে মোটা জাতের প্রতিমন ধান বিক্রি হয়েছে ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকা আর চিকন ধান বিক্রি হয়েছে ১৪০০ থেকে ১৪৫০ টাকায়। এতে মোটা জাতের প্রতিমন ধানে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা এবং চিকন জাতের প্রতিমন ধানে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা দাম বেড়েছে। এ কারণে পাইকারি বাজারে মোটা জাতের চালের দাম প্রতিবস্তায় বেড়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। আর চিকন জাতের চালে বেড়েছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা।

চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে প্রচুর চাল মজুত আছে। বাজারে অন্যান্য পণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে চালের দামও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় সাধারণ ক্রেতা বেশি করে চাল কিনছেন। সে কারণে চালের চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়েছে। তবে চলতি মৌসুমে উৎপাদন বেশি হয়েছে। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না ঘটলে চালের কোনো সংকট হওয়ার আশঙ্কা নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার সর্ববৃহৎ পাইকারি বাজারে মোটা জাতের স্বর্ণা-৫ চালের দাম ৫০ কেজির প্রতিবস্তাতে বেড়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। দুদিন আগে এই চালের দাম ছিল ২১০০ থেকে ২১৫০ টাকা। শুক্রবার সেই চাল বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ থেকে ২৪৫০ টাকায়।

ফলে মোটা জাতের চাল কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা। আর চিকন জাতের চালে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৯ থেকে ১০ টাকা। দুদিন আগে চিকন

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2024 Frilix Group
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD