সিদ্দিক বেরোবি প্রতিনিধিঃ:
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ বলেন, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজট মুক্ত হচ্ছে। এক বছর আগেও যেখানে চার বছরের সেশনজট ছিলো তা এক বছরের মধ্যেই শেষ হচ্ছে। গত এক বছরে দুইটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া শেষ করে ইতোমধ্যে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে জিডিএস এসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য আরো বলেন, নানা কারণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছরের সেশনজট ছিলো। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পর প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছিলাম এই বিশ্ববিদ্যালয়কে সেশনজট মুক্ত করবো। তখন করোনাকাল ছিলো। সশরীরে ক্যাম্পাসে আসা বন্ধ ছিলো। তাই অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু করেছিলাম। বলতে গেলে এক দিনের জন্যও তা বন্ধ হয়নি। একটানা ক্লাস ও পরীক্ষা নিয়ে সেশনজট মুক্ত করার ক্ষেত্রে স্বল্প দিনে আমরা অনেকটাই এখন সফল। এজন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান উপাচার্য।
বিদায়ীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, শিক্ষার কোন শেষ নেই। তোমরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন হয়তো শেষ করেছো কিন্তু তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে প্রায়োগিক শিক্ষার সাথে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করতে হবে। আগামী চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ধরণ কেমন হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। সুতরাং বিষয়ভিত্তিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রায়োগিক শিক্ষার সমন্বয় করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে।
উপাচার্য বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী অনেকের আচরণগত কিছু পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। মাঝে মধ্যে ভুলে যাওয়া কিংবা আকস্মিকভাবে রেগে যাওয়া কোভিড-১৯ এর প্রতিক্রিয়া বলেই মনে হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে এসব সমস্যার সাথে নিজেদেরকে মানিয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মীর তামান্না ছিদ্দিকার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন মোঃ শরীফুল ইসলাম। বিভাগের শিক্ষক ত্বহা হোসাইন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।###
মো সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
Leave a Reply