সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধি:
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে গত কাল মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি)
আনুমানিক বিকাল ৪ টার দিকে গোদাগাড়ী উপজেলার ৬ নং
মাটিকাটা ইউনিয়নের হরিশংকরপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার মাসু ১২ জনকে
আসামি করে গোদাগাড়ী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা
দায়ের করেন। নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার মাসু জানান, সোমবার বিকাল ৪টার দিকে উক্ত আসামীরা দলবদ্ধ হয়ে আমার বসতবাড়ীতে এসে আমাকে এবং আমার স্বামী সেলিম রেজা ও আমার ছেলে মোঃ ইয়াকুব আলী কে বাশের লাঠি, কাঠের মাটাম,লোহার রড ও শাবল দিয়ে অনেক মারধর করে এবং বসত- বাড়ীর জায়গা ছেড়ে দিয়ে চলে যেতে বলে আর যদি বসত-
বাড়ী ছেড়ে না যাই তাহলে বাড়ী-ঘর ভেঙ্গে ফেলাসহ হত্যার
হুমকি দিয়ে চলে যায়। এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি বিকালে, আবারও একই দল লাঠিসোঠা
নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায় এবং ঘরবাড়ি ভাঙচুর শুরু
করে। বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা আমাদের ওপর লাঠি, রড ও বাইলোট দিয়ে আঘাত করে। এক পর্যায়ে আমার শ্বামি সেলিম রেজা দৌড়ে রাস্তায় পালানোর চেষ্টা করলে আসামিরা
লোহার শাবল দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। গুরুতর আহত
অবস্থায় তাকে প্রথমে প্রেমতলী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়,
তার পরে শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে সেখান থেকে
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি ভোরে সেলিম রেজা মারা যান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নিহত সেলিম রেজার সঙ্গে
আসামিদের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। তবে হত্যার মতো ঘটনা পুরো গ্রামবাসীকে হতবাক করেছে।
এ বিষয়ে গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মাদ রুহুল আমিন বলেন, এই বিষয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।”
Leave a Reply