ছবি- প্রতীকি
পিরোজপুর প্রতিনিধি
এম এন উদ্দিন
– ২৮, ইং ২০২২
পিরোজপুরের নেছারাবাদের- ১২২ নম্বর উত্তর পূর্ব আরামকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিজয় মিস্ত্রীকে বিদ্যালয় কক্ষে অবরুদ্ধ করে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (-২৮ মে) সকালে উপজেলার জলাবাড়ী ইউনিয়নের আরামকাঠিতে এ ঘটনা ঘটে।
বিদ্যলয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্রেণি কক্ষের চাবি সরানোর অপবাদ দিয়ে মেয়েটিকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে স্থানীয়রা অবরুদ্ধ করে রাখে। তবে প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ সদ্য গঠিত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিতে তাদের নাম না রাখায় ছাত্রীটির মাধ্যমে চাবি সরিয়ে শ্যামল মিত্রর লোকজন তাকে (প্রধান শিক্ষক) অবরুদ্ধ করে রাখে।
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইউসুফ হোসেন ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মজনু মোল্লার আশ্বস্তে পরিস্তিতি শান্ত হয়।
বিদ্যলয়ের পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীটি জানায়, আমি সকালে বিদ্যালয়ে আসি। এমন সময় স্যার এসে আমাকে চাবি দিয়ে বিদ্যালয়ের রুম খুলতে বলেন।
আমি শ্রেণি কক্ষের তালা খুলে প্রধান শিক্ষকের কাছে চাবি দিয়ে আসি। কিছুক্ষণ পর স্যার চাবি না পেয়ে আমাকে চাবির কথা জিজ্ঞাসা করে আমাকে বলে, তুমি তাড়াতাড়ি চাবি বের করে দাও। চাবি না পেলে তোমাকে পুলিশে দিব বলে নানা ভয় দেখান।
মেয়েটির মামা অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাগ্নি কান্না করতে করতে বাড়ি যাচ্ছিল। আমি তাকে জিজ্ঞাসে করলে সে জানায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাকে চাবি চুরির অপবাদ দিয়ে পুলিশের ভয় দেখিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের করে দিয়েছি। ওর কথা শুনে বিদ্যালয়ে যাই। গিয়ে দেখি শিক্ষক তার টেবিলের নিচে চাবি গুজে আমার ভাগ্নিকে চোর বলছে। পরে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে সেই চাবি প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে উদ্ধার করে। তাই প্রধান শিক্ষকের বিচার চাই।
প্রধান শিক্ষক বিজয় মিস্ত্রী বলেন, আমি বিদ্যালয়ে এসে মেয়েটিকে চাবি দিয়ে রুম খুলতে বলি। রুম খুলে আমাকে চাবি না দিয়ে বাহিরে অপুর কাছে দিয়ে দেয়। আমি চাবি না পেয়ে মেয়েটিকে একটু জিজ্ঞাসা করেছি মাত্র। এতে বিদ্যালয় কমিটির সাবেক সভাপতি শ্যামল মিত্রের লোকজন এসে জড়ো হয়ে আমাকে বিদ্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখে নানা হুমকি দেয়। কমিটিতে তাদের নাম রাখায় তারা বিদ্যালয়ে এসে আমাকে ভয় দেখানোসহ বিভিন্ন সময় ডির্স্টাব করে আসছে।
স্থানীয় নুরুল ইসলাম, নূর মোহাম্মদ অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক বিজয় মিস্ত্রি বিদ্যালয়ে একটি অগণতান্ত্রিক কমিটি করেছেন। সেই কমিটি নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করে আসছি। এরই জের ধরে সে বিদ্যালয়ের চাবি লুকিয়ে রেখে ছোট মেয়েটিকে চাবি চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছে। তাই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সামছুন্নাহার-সহ আরো এক শিক্ষিকার কাছে বিজয় মিস্ত্রির উপযুক্ত বিচার চেয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইউসুফ হোসেন এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি বিষয়টি শুনে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মজনু মোল্লাকে দায়িত্ব দিয়েছি।
পিরোজপুর প্রতিনিধি
Leave a Reply