শাকিল আহমেদ,নড়াইলঃ
মাগুরা পুলিশ অফিসের ১০ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা আত্নসাৎকারী প্রতারক চক্রের অন্যতম সদস্য কোটিপতি আজমল মুন্সীর সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে এলাকার সাধারন মানুষকে জিম্মি করার অভিযোগ উঠেছে। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের আজমল মুন্সী এক সময়ে পশু ডাক্তারি করে সংসার চালাতে হিমশিম খেলেও বর্তমানে প্রতারক কোটিপতি আজমল মুন্সী লাহাগড়ার উপজেলার দক্ষিণাংশের গডফাদার।
তৈরি করেছেন নিজস্ব আইন ও নিজস্ব আইন বাস্তবায়নে সন্ত্রাসী বাহিনী।তার রাজত্বে কেউ বিরোধীতা তো দুরের কথা পক্ষে না থাকলে তার আর নিস্তার নেই।চালানো হয় বর্বরোচিত নির্যাতন। মিথ্যা মামলা দিয়ে করা হয় হেনস্তা। প্রতারক আজমল মুন্সীর অবৈধ টাকার জাদুতে গ্রাম্য মাতবরসহ সবাই যেন বশীভূত।
গত ইউনিয়ন নির্বাচনে আজমল মুন্সীর সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান মেম্বর কালাম মুন্সীর পক্ষে কাজ না কয়ায় কথিত ছাগল চুরির অপবাদে মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের ফরিদ শেখ ও ভ্যানচালক তরিক শেখকে বাঁশের মুগুর ও কুঞ্চির লাঠি দিয়ে বেদম মারপিট করবার পর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জলন্ত সিগারেটের আগুনে ছ্যাঁকা দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করেছে আজমল মুন্সীর বাহিনী।যা ভাইরাল হয়েছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এ ঘটনায় তরিক শেখের ভাই মোঃ এরশাদ শেখ আজমল মুন্সী ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা করায় আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন আজমল মুন্সী ও তার বাহিনী।
তরিক শেখের ভাই এর স্ত্রী গৃহীনী লতিফা বেগম অভিযোগ করেন,আমরা বাড়ির মহিলারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আজমল মুন্সী সরাসরি হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে না নিলে আমাদেরকে বে-ইজ্জতি করবে। আরো বলতেছে আমার টাকার কোন অভাব নেই,টাকা দিয়ে আমি এই কেস খেয়ে ফেলবো। কিন্ত তোদের কোন মান সম্মান রাখব না।
শ্রমিক মোঃ হবিবার মোল্যা বলেন,আমরা গরীব মানুষ কাজ করে খাই, আজমল মুন্সী,মেম্বর কালাম মুন্সী ও তার লোকজন বাড়িতে এসে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।বাড়ি থেকে ভয়ে কাজে বের হতে পারছিনা। আমরা ছেলে মেয়ে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে খুব কষ্টে আছি।
মোঃ এরশাদ শেখ অভিযোগ করেন আজমল মুন্সীর বিরুদ্ধে মামলা করায় আজমল মুন্সীর সন্ত্রাসীরা সরাসরি মামলা তুলে নিতে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতেছে।।মামলা তুলে না নিলে মিথ্যা মামলাসহ তার বাহিনী দিয়ে আমাকে নির্যাতন ও হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে আজমল মুন্সীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে বলেন,তারা ছাগল চুরি করলে গ্রাম্য মাতবররা মিলে শাস্তি দিয়েছে।আমার কোন সন্ত্রাসী বাহিনী নেই এবং মাগুরা পুলিশ অফিসের ১০ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা আত্নসাৎ এর সাথে জড়িত নই। মাগুরা পুলিশ অফিসে আমার এক আত্নীয় কনস্টেবল মশিউর রহমান (কং-৬৫৮) আমার একাউন্টে টাকা পাঠাত এবং মশিউরই তুলে নিত।
লোহাগড়া উপজেলা থানার ইনচার্জ আবু হেনা মিলন বলেন,আইন কারো হাতে তুলে নেওয়ার সুযোগ নেই। কেউ অপরাধ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply