আব্দুল মজিদ মল্লিক, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ নওগাঁয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে এক নারীসহ আট জনকে আটক করা হয়েছে। আটক হওয়া ওই নারীর নাম কনা খাতুন। তিনি নিজেও পেশায় একজন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল শিক্ষিকা।
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এবং গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) যৌথ অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের মুক্তারপাড়া গ্রামের দেওয়াপাড়ায় কনা খাতুনের বাবার বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে শহরের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে ৭ পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। আটকের সময় পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৮টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
ডিবি পুলিশ জানায়, আটক কনা খাতুন জেলার বদলগাছী উপজেলার রামশাহাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা। এছড়াও তিনি প্রশ্নফাঁস চক্রের মূল হোতা মেহেদী হাসানের স্ত্রী। কনা নওগাঁ শহরের কোমাইগাড়ী মহল্লায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
প্রশ্নফাঁস চক্রের বিষয়টি এনএসআই জানতে পেরে চক্রের মূলহোতা মেহেদী হাসান ও তার স্ত্রী কনা খাতুনসহ পরীক্ষার্থীদের ওপর নজরদারি রাখছিল। শুক্রবার চক্রটির সাথে পরীক্ষার্থীদের আর্থিক লেনদেন ও প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অভিযানের সময় কনা খাতুনকে আটক করা গেলেও অন্যান্য সদস্যদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান বের করতে না পারায় তাদের আটকরা সম্ভব হয়নি।
পরে আটক হওয়া পরীক্ষার্থীদের জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দন্ডবিধি আইন ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় একমাস করে বিনাশ্রম কারাদ- দেয়।
নওগাঁ জেলার ডিবি পুলিশের ওসি কে এম সামসুদ্দীন বলেন, আটক শিক্ষিকা কনা খাতুনের বিরুদ্ধে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আব্দুল মজিদ মল্লিক
নওগাঁ
০৩/০৬/২২
Leave a Reply