নড়াইল প্রতিনিধি ঃ নড়াইল পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তুফানের বিরুদ্ধে নড়াইল জজ কোর্টের সাবেক অাপিল সহকারী তুষার কান্তি মালাকার কে মারধর ও অপহরন চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছ।
ভূক্তভোগী তুষার কান্তি মালাকার এ প্রতিবেদককে জানান,
আমি আজ সকালে নড়াইল জজ কোর্টে যাওয়ার সময় ইজি বাইকের জন্য স্ট্যান্ডে দাড়িয়ে ছিলাম,
এ সময় সেখানে ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তুফান এসে হাজির হয়। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই তুফান আমার কাছে এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালী গালাজ করতে থাকে।আমি গালী দিতে নিষেধ করলে আমাকে চর থাপ্পর মেড়ে ঘাড় ধরে আমাকে মাটিতে ফেলে দেয়।
এবং জোড় করে তার মোটর সাইকেলে উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় লোকজনের উপস্থিতি বাড়তে থাকলে কাউন্সিলর তুফান আমাকে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। আমি তখন সেখান থেকে উঠে নড়াইল জজ কোর্টে চলে যাই। এবং বিষয়টি জেলা নাজির সাহেবকে জানাই।
তুষার কান্তি মালাকার আরো জানান, আমি ছেলেকে মেডিকেলে পড়ানোর সময় কিছু টাকা দেনা দায়ীক হই। চাকরী থেকে অবসরে গিয়ে কিছু দেনা পরিশোধ করেছি। আর কিছু টাকা বাকি আছে যা আমি পরিশোধ করতে পাড়িনি। তার মধ্যে কাউন্সিলর তুফানের মাধ্যমে আশ্রম রোডের সার বীজ ব্যবসায়ী বাকুর ম্যানেজারের কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা মাসিক সূদে নেওয়া ছিল। আমি গত দুই বছরে এই এক লক্ষ টাকার সুদ দেড় লক্ষ টাকা দিয়েছি। পূর্বেই এই টাকার গ্যারান্টি হিসেবে ব্লাঙ্ক চেক ও নন জুডিশিয়াল স্টাম্পে আমার স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছে কাউন্সিলর তুফান।আজ কয়েকদিন যাবত আমাকে সুদ ও আসল টাকা পরিশোধের জন্য মারত্নক চাপ দিচ্ছিলো তুফান।আমি টাকা দিতে না পাড়ায় আজকে আমাকে মারধর ও অপহরনের চেস্টা করে।
আমি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। কারন কাউন্সিলর তুফান নেশাগ্রস্ত, সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। সে যে কোন সময় আমার বড় ধরনের ক্ষতি করতে পাড়ে। তাই আমি আইনগত পদক্ষেপ নেব।
এ বিষয়ে পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তুফানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
Leave a Reply