সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে চাচির সঙ্গে ‘পরকীয়ার’ কারণে চাচাকে হত্যার অভিযোগে ভাতিজা ও চাচিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বেলকুচি থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, বুধবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ভাতিজা বৃহস্পতিবার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।গ্রেপ্তাররা হলেন উপজেলার রাজাপুর পশ্চিমপাড়ার আব্দুস সাত্তারের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৩) এবং তার চাচা মোন্নাফ সেখের স্ত্রী।
স্বজনদের বরাতে ওসি জানান, ২১ মার্চ রাতে নিজ ঘরে একা ঘুমন্ত অবস্থায় গার্মেন্টসশ্রমিক মোন্নাফ সেখকে (৪৫) কুপিয়ে ও মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে শাহাদৎ হোসেন অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ নিহতের ভাতিজা আলমগীর ও স্ত্রীর পরকীয়ার সর্ম্পক জানতে পারে।ঘটনার কয়েকদিন আগে এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করা হয় জানিয়ে ওসি বলেন,হত্যাকাণ্ডের পর রাতেই আলমগীর কামারখন্দে তার শ্বশুরবাড়ি চলে যান।ওসি বলেন, বুধবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে আলমগীর হোসেন ও তার চাচিকে গ্রেপ্তার এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার আলমগীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পরে তাদের দুজনকেজেলহাজতে পাঠানো হয়।ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, চাচি ও ভাতিজার পরকীয়ার জেরেই মোন্নাফ সেখকে খুন করা হয়। এই দুইজনের বাইরে কেউ এ ঘটনায় জড়িত ছিল না।মোন্নাফের প্রতিবেশী পরিবারের সদস্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সানোয়ার হোসেন বলেন, “হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অত্যাচারে আমরা ছেলে সন্তানসহ ১৭ জন পুরুষ সদস্য
বাড়িতেথাকতে পারিনি। মারপিটের ভয় দেখিয়ে আমাদের বাড়ি ছাড়া করেছিল হত্যাকারী ও তার স্বজনরা। বাড়িতে থাকা নারী সদস্যদের মারপিট ও বসতবাড়ি ভাংচুরও করেছেন তারা। এ কারণে আমরা পুরুষরা ১০দিন বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে থাকতে বাধ্য হয়েছিলাম; পুলিশের তদন্তে আসামিরা গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার আমরা বাড়িতে ফিরেছি
Leave a Reply