মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি।
শেরপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে আবারও কয়েক হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়েছে। ভারত থেকে নেমে আসা, নালিতাবাড়ী ভোগাই নদী ও ঝিনাইগাতী মহারশী নদী ও মোমেশ্বরী নদী সহ বিভিন্ন খাল দিয়ে নেমে ডুবে যায় ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ, উপজেলা ডাকবাংলো পরিষদ, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস, উপজেলা মার্কাস মসজিদ এবং উপজেলা ভূমি অফিস সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এতে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পরে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ সরে জমিনে গিয়ে উপজেলার কাংশা,ধানশাইল ও নলকুড়া ইউনিয়ন সহ সকল বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং সাংবাদিকদের বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে দ্রুত শুকনো খাবার পাঠানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অনেক ক্ষতি হয়েছে, তাদের সার্বিক সহায়তার আশ্বাসও দিয়েছেন।
নলকুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ রুকুনুজ্জামান বলেন, এবারের বন্যায়, এসব এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে যা প্রকাশ অসম্ভব। অনেকের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে এবং পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গিয়েছে।
সরে জমিনে দেখা যায়, ঝিনাইগাতী ব্রীজপাড় মহিলা মাদ্রাসা সংলগ্ন মোঃ নাজিম উদ্দীন এর বসত বাড়ি ভেসে যায় এবং তার ছেলে, জিনিয়ামের ২০০০/ পোলট্রি মুরগী সহ ফার্ম ও তার বসত বাড়িও পানিতে ভেসে যায়, এবং পাশেই ছামিউল ও ফুলু মিয়ার বাড়ির লোকজন নিজ বাড়িতে আটকে পড়েন। এ অবস্থায় ঝিনাইগাতী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যায় এবং সেখান থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনেন।
Leave a Reply