নিউজ ডেস্ক :
দুই বছরেও চালু হয়নি শেকৃবির সাইবার সেন্টার
রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে সাইবার সেন্টার। করোনার শুরু থেকেই বন্ধ রয়েছে সাইবার সেন্টারটি।
শিক্ষার্থীরা জানান, মহামারির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন সেন্টারের কার্যক্রম। পরবর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আট মাস পার হলেও সচল হয়নি সেন্টারটি। ফলে এটির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা ঘণ্টাপ্রতি ১০ টাকা পরিশোধ করে ব্যবহার করতে পারতেন এখানকার কম্পিউটারগুলো। তাছাড়া কম দামে ফটোকপি ও প্রিন্ট করার সুযোগও ছিল সাইবার সেন্টারটিতে। এখন বন্ধ থাকায় সে সুবিধাও পাচ্ছেন না তারা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, সবার কাছে ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ থাকে না। মাঝে মাঝে কিছু ছোট-বড় গুরুত্বপূর্ণ কাজে কম্পিউটারের প্রয়োজন হয়। তখন সাইবার সেন্টারে গিয়ে কাজ সেরে নেওয়া যায়। এখন সেটা বন্ধ থাকায় সে সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে যেতে হচ্ছে বাইরের কম্পিউটার দোকানগুলোতে অথবা ধার নিতে হচ্ছে কোনো বন্ধুর ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ।
এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাইবার সেন্টারে যে কম্পিউটারগুলো ছিল সেগুলোর সবকটিই প্রায় নষ্ট। তাই নতুন কম্পিউটার ছাড়া সাইবার সেন্টারটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
এ বিষয়ে শেকৃবির ইনফরমেশন কমিউনিকেশন সেন্টারের (আইসিসি) ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমরা ২০১৮ সালে ১৫টি কম্পিউটার, ১৫টি চেয়ার, ১০টি টেবিল এবং একটি ফিল্টার চেয়ে প্ল্যানিং ডিভিশনে চিঠি পাঠিয়েছি। কিন্তু এরপর আর কোনো অগ্রগতি দেখিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ল্যানিং ডিভিশনের পরিচালক ড. মিজানুল হক কাজল বলেন, ২০১৮ সালে আমি প্লানিং ডিভিশনের পরিচালক ছিলাম না। পরিচালক হওয়ার পর চিঠি সম্পর্কিত কিছু শুনিনি। তখন অন্য কেউ এ দায়িত্বে ছিলেন। তবে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করছি এই সাইবার সেন্টার পুনরায় চালু করার।
তিনি আরও বলেন, প্রজেক্ট পেলেই আমি এটি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করব। তবে এক্ষেত্রে প্রধান দায়িত্ব আইসিসি সেন্টারের। তারা শুধু চিঠি পাঠিয়ে দিলেই কাজ শেষ না। এটা নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলাপ করতে হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রশিদ ভুঁইয়া বলেন, সাইবার সেন্টার নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা আছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই এটি চালু করা হবে।
Leave a Reply