রাসেল ইসলাম, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার হাজিরহাট এলাকায় আশ্রয় প্রকল্প-২ এর আওতায় মুজিব বর্ষের বরাদ্দকৃত খাসজমিতে ২টি ঘর ও ১টি গণশৌচাগার করে উপজেলা প্রশাসন লাপাত্তা।
বাবুর আলী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম মোল্লা ও তার ভাতিজা মেজবা উদ্দিন দীর্ঘদিন যাবৎ ক্ষমতার অপব্যবহার করে খাসজমি দখল করে এতিমখানা তৈরি করার চেষ্টা করছেন। এমনি একটি অভিযোগ ৮মে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার বরাবর দায়ের করেছেন এলাকাবাসী।
এর আগে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি যেমন, বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন নিলামে না দিয়ে আত্মসাৎ, বিদ্যালয় ও রাস্তার গাছ নিয়ম বহির্ভূতভাবে কর্তন করে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন নজরুল ইসলাম। সেটি প্রমাণিত হওয়া তাকে শোকজ সহ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সুপারিশ করেন রংপুর বিভাগীয় উপ-পরিচালক যাহার স্বরক নম্বর-৩৭.০২.৮৫০০.০০০.০৮.০০৪.২১। এর পরেও রহস্যজনক কারনে বাবুর আলী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা আব্দুল মান্নান নজরুল ইসলামকে স্বপদে বহল রাখেন।
মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণ বৈরাতী মৌজার হাজিরহাট এলাকার ১নং খাস খতিয়ান ভুক্ত ৫১৯২ দাগে ২২ শতক, ৫১২৮ দাগে ৫৩ শতক এবং ৫১১৯ দাগে ১১ শতক মোট ৮৬ শতক জমিতে আশ্রয় প্রকল্প-২ এর আওতায় ২০ টি মুজিব বর্ষের ঘর নির্মাণ হওয়ার কথা থাকলেও ২টি ঘর ও একটি গণশৌচাগার নির্মাণ করে কুচক্রী মহলের কথা শুনে উপজেলা প্রশাসন নিরব। ২টি গরীব অসহায় পরিবার আশ্রয় নিলেও হুমকির মধ্যে জীবন যাপন করছে তারা। সরকারি কাজে বাধাঁ দেয়ায় জেলা প্রশাসন তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন যাহার স্বারক নাম্বর-৫১.০১.৫২০০.০০০.২৭.০০৩.১৪.১৭২। অপরদিকে বরাদ্দকৃত জায়গায় মুজিববর্ষের ঘরের কাজ না করে অন্যত্র কাজ করার চেষ্টা চলিয়ে যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন।
এ দিকে মুজিববর্ষের বরাদ্দকৃত জায়গায় এতিমখানার নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যানার ফেষ্টন ভূয়া ভিত্তি ফলক স্থাপন করে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওই এলাকায় দুটি এতিমখানা আছে যেগুলো ঠিক মত চলে না। প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম মোল্লা সুকৌশলে হাজী রেফাজ উদ্দিন-সহির মোল্লা হাফেজিয়া মাদরাসা ও ইয়াতিমখানার নাম ভাঙ্গিয়ে তালবাহানা করে পুরো জায়গাটি দখলের চেষ্টা করছেন।
জায়গাটি দখলের খবর শুনে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার পরেও রহস্য জনক ভাবে উপজেলা প্রশাসন নিরব। এর আগে মুজিববর্ষের ঘরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ছবি ছিড়ে ও গণশৌচাগার এর স্থানে সুকৌশলে বৃষ্টির সময় পানির ধারা কেটে দিয়ে সেটি অকেজো করে দিয়েছে নজরুল ইসলাম মোল্লা গং। এ বিষয়ে অভিযোগ করলেও তার প্রতিকার করেননি উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা আব্দুল মান্নান।
এছাড়াও সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান করায় প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের নামে মামলা দায়ের হয়। কালীগঞ্জ থানার মামলা-নং NGR ১২০/২১। এরপরও কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি তার বিরুদ্ধে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা জনাব আব্দুল মান্নান বাবুর আলী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের এ্যাডহক কমিটির সভাপতি হলেও ভূমি দস্যু প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম মোল্লাকে রহস্যজনক ভাবে অব্যহতি এমন কি তার বিল বেতন উত্তোলনের ব্যবস্হা করে দিচ্ছেন বলেও এলাকাবাসী অভিযোগ করেন।
বাবুর আলী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে বাবুর আলী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, মুজিববর্ষের ঘরের জায়গা নিচু হওয়ায় অন্যত্র ঘর করা হয়েছে। আর শিক্ষক নজরুল ইসলামের বেতন দেই উপজেলা শিক্ষা অফিসার আমাকে প্রত্যয়ন দেয় তাই। এই শিক্ষা অফিসই তার বিরুদ্ধে দূর্নীতির দতন্ত করে সত্যতা পেয়েছিল তাহলে তারা কেন প্রত্যয়ন দেয় এমন প্রশ্নের কোন উত্তর দেননি তিনি।
Leave a Reply