নিউজ ডেস্ক :
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেছেন, আমরা কোন দুনীর্তি করবো না, কাউকে করতেও দেবনা। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা হলেন, সমাজের ওয়াচ ডগ। সাংবাদিকদের সমালোচনা ও লেখনি আমাকে পথ দেখাবে। আমাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
তিনি আরও বলেন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার কাজ পুরোদমে চলছে। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের নাগরিক করার চেষ্টা করছি। আমরা পুরাতন, অমঙ্গলকর সবকিছু বদলে একটি নতুন মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার কাজ করছি।
গতকাল মঙ্গলবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন পাবনার সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন। উপাচার্যের দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে উপাচার্য ও উপ-উপাচর্য মহোদয় মতবিনিমিয় সভা করেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, পাবনা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি ও দৈনিক জোড়বাংলা পত্রিকার সম্পাদক আব্দুল মতিন খান, পাবনা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি মীর্জা আজাদ, পাবনা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি ও পাবনা সংবাদপত্র পরিষদের সম্পাদক শহিদুর রহমান শহীদ, দৈনিক বিবৃতির সম্পাদক ইয়াছিন আলী মৃধা রতন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও ইত্তেফাক প্রতিনিধি রুমী খোন্দকার, যুগান্তরের পাবনা প্রতিনিধি আখতারুজ্জামান আখতার, দৈনিক জনকন্ঠের কৃঞ্চ ভৌমিক, দি ডেইলি স্টারের আহমেদ হুমায়ূন কবির তপু, দেশ রুপান্তরের রিজভী জয়, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, পাবনা রির্পোটার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি রাজিউর রহমান রুমি, সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহবুব মোর্শেদ বাবলা, প্রবীন সাংবাদিক আব্দুর রশিদ, সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল, রফিকুল ইসলাম সুইট, মাহফুজ আলম, আবু হাসনা মুহম্মদ আইয়ুব, শাহিন রহমান, ইয়াদ আলী মৃধা পাভেল, শফিক আল কামালসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার বিজন কুমার ব্র², প্রক্টর কামাল হোসেন, জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক ফারুক হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।
উপাচার্য আরো বলেন, আমাদের স্বপ্ন বড়, আমরা ভালো কাজ করতে চাই। ভালো কাজের আনন্দ খুবই তৃপ্তির। রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ পাবনার পরিবেশ ও প্রতিবেশের সাথে মিল রেখে নতুন বিভাগ খোলা হবে। আমরা দুইমাস আগে যোগদান করেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাণ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করতে পেরেছি। তাদের মনোবল, শক্তি ফিরিয়ে এনেছি। তাদের মধ্যে স্বপ্নের বীজ বুনতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, নীতিগত দুর্নীতি বড় দুর্নীতি। আমরা দুর্নীতি করবো না, করতেও দেব না।
সাংবাদিকরা আমাদের কাজকর্মের পর্যবেক্ষক হিসেবে বড় দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁরা আমাদের সারাক্ষণ জাগিয়ে রাখবেন যাতে আমাদের গতি কমে না যায়। আমাদের বন্ধু হিসেবে সত্যকে তুলে ধরবেন। সত্যকে সত্য কালোকে কালো বলবেন। উপাচার্য ড. হাফিজা খাতুন এ সময় বলেন, পাবনার সাংবাদিকতার ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের। মহান ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এখানকার সাংবাদিকরা যে গৌরবময় ভ‚মিকা পালন করেছেন তারই ধারাবাহিকতায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার কাজে আমাদের পাশে থাকবেন। সহযোগিতা করার জন্য তিনি সাংবাদিকদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল খান বলেন, সাংবাদিকরা সমাজ বিনির্মানের কারিগর। এই বিশ্ববিদ্যালয় আপনাদের ভালোবাসার প্রতিষ্ঠান। বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। নানা পথ নানা মত থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাবো। আমাদের সীমাবদ্ধতা থাকলেও লক্ষ্যে পৌছানো অসম্ভব নয়। অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে আমরা দেশের সেবা করতে চাই। সকল তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদের সাহায্য করতে চাই। যাতে আমাদের কাজের স্বচ্ছতা থাকে। জাতি জানতে পারে আমরা কী করছি।
পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান পাবনার সাংবাদিকতার ঐতিহ্য তুলে ধরে বলেন, আমরা সকল ইতিবাচক কাজে সহযোগিতা করতে চাই। পাবনার প্রতিষ্ঠান সারাবিশ্বে সুনাম অর্জন করুক এটা আমাদের প্রত্যাশা। নতুন উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের যোগদানের মধ্য দিয়ে নতুন দিনের সূর্যের উদয় হয়েছে। উপাচার্যের জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হোক এই বিশ্ববিদ্যালয় তথা পাবনা।
সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ বলেন, উপাচার্য দেশ বরেণ্য গবেষক, স্বনামধন্য শিক্ষক, আলোকিত মানুষ এবং বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা। তিনি তাঁর প্রজ্ঞা ও বিচক্ষনতা দিয়ে গড়ে তুলবেন এই বিশ্ববিদ্যালয়, আমরা পাশে থাকব।
প্রসঙ্গত, গত ১২ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক বিশিষ্ট পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. হাফিজা খাতুন উপাচার্য হিসেবে এবং ১৩ এপ্রিল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এস.এম মোস্তফা কামাল খান উপ-উপাচার্য হিসেবে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ লাভ করেন।
Leave a Reply