নিউজ ডেস্ক :
ময়মনসিংহে এক নারীকে হাত-পা বেঁধে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলের প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৯ জুন) কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (২৮ জুন) সন্ধ্যার দিকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তবে একই দিন রাতে সদর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী আছমা।
নিহত নারী হলেন, মহানগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের চর ঈশ্বরদিয়া এলাকার আব্দুর রশিদের স্ত্রী লাইলী বেগম (৩৮)।
নিহতের স্বামী আব্দুর রশিদ জানান, একই এলাকার প্রতিবেশী খোকন ওরফে কাজল মিয়ার মেয়ের সঙ্গে তার ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি ওই মেয়ের বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। এ বিষয় জানতে পেরে ওই মেয়ে গত রোববার তার ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে মীমাংসা করার চেষ্টা চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২৮ জুন) সালিস হওয়ার কথা ছিল।
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার (২৮ জুন) সকাল ৮টার দিকে তিনি কাজের জন্য বেরিয়ে গেলে মেয়ের মা কনা আক্তার, চাচি নাসরিন, আসমা ও রুমা বাড়িতে এসে তার স্ত্রী লাইলী বেগমের হাত-পা বেঁধে একটি ঘরে নিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় লাইলী বেগমের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে দগ্ধ অবস্থায় লাইলীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করেন। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, মরদেহ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে আনার প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আটজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। তবে মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাতে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Leave a Reply