উচ্চপ্রু মারমা রাঙ্গামাটি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেছেন বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই সারাদেশের ন্যায় পার্বত্য অঞ্চলের বিদ্যুৎ বিহীন এলাকায় ঘরে ঘরে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ করছে । বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এই মোতাবেক আমরা ধাপে ধাপে শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর (উশৈসিং) এমপি র সার্বিক প্রচেষ্টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। পার্বত্য অঞ্চলে যেসব এলাকায় আগামী ৫ থেকে ১০ বছরেও বিদ্যুৎ যাওয়ার সম্ভাবনা নাই। ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের ঘরে ঘরে সোলার প্যানেল দিয়ে সৌর বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে প্রকল্প গুলো হাতে নেওয়া হয়েছে। ৩০ জুন বৃহস্পতিবার রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার ঘিলাছড়ি ও গাইন্দ্যা ইউনিয়নে সোলার হোম সিস্টেম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বাস্তবায়নধীন পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ শীর্ষক প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে আওতায় ঘিলাছড়ি ও গাইন্দ্যা ইউনিয়নে ১২২৪টি পরিবারের মাঝে সোলার প্যানেল বিতরণের প্রথম ধাপে ৭৩২টি পরিবারের মাঝে ১০০ ওয়ার্ড সোলার প্যানেল ও ১২ ভোল্টের একটি করে ব্যাটারি সহ (প্রশিক্ষণ ভাতা বাবদে) পরিবহন খরচ সহ সম্পূর্ণ বিনি মুল্যে বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ইউএনও শান্তনু কুমার দাশ এর সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (বাস্তবায়ন)ও প্রকল্প পরিচালক মোঃ হারুন আর রশিদ,রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উবাচ মারমা, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু ছালেহ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অংনুচিং মারমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উসচিন মারমা, ওসি জাকির হোসাইন, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উথিনসিন মারমা, ইউপি চেয়ারম্যান রবার্ট ত্রিপুরা, গাইন্দ্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পুচিংমং মারমা, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লংবতি ত্রিপুরা, হেডম্যান, মেম্বার, কারবারি সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ বছর ধরে ঘিলাছড়ি ও গাইন্দ্যা ইউনিয়নে অধীকাংশ পাড়ার বসবাসরত পরিবার গুলো বিদ্যুৎতের আলো থেকে বঞ্চিত রয়েছে। উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে সোলার প্যানেল হাতে পেয়ে খুশি দুর্গম এলাকার পরিবারগুলো।
Leave a Reply