জাহিদ আহাম্মেদ রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
সাগরকন্যা খ্যাত (পটুয়াখালী) রাঙ্গাবালী উপজেলা পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময়ী স্থান।
সমুদ্রের জলরাশি,উপরিভাগে লাল কাঁকরার ছোটাছুটি পাখির কোলাহল প্রকৃতির অপরুপ বনাঞ্চল সমুদ্রের ঢেউয়ের আচরে পরা বিচারন, সাথে সূর্যউদয় – সূর্যঅস্ত ভ্রমণপিপাসু মানুষদের মনকে আকৃষ্ট করে।
রাঙ্গাবালীতে অনেক স্থান রয়েছে এদের মধ্যে পর্যটনের অপার সম্বাবনাময়ী স্থান হচ্ছে “জাহাজমারা ও সোনারচর”
সেক্ষেত্রে রাঙ্গাবালী উপজেলা সবচেয়ে বড় বাধা যোগাযোগ ব্যবস্থা। শুধুমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থার অমুল পরিবর্তন আনতে পারলেই অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হবে পর্যটনের ব্যাপক বিকাশ ঘটবে।
উপজেলা প্রকৌশলীরা জানান- ইতিমধ্যে রাঙ্গাবালী ফেরিসেবা চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে,খুব শীঘ্রই যাতায়াত ব্যবস্থার অমূল পরিবর্তন দেখবে চরবাসী।
জাহাজমারাঃ-
প্রাকৃতিক এক অপার সৌন্দর্যে ভরপুর নয়ানাভিরাম জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত। ভোরের কুয়াশা অবিভূত হয়ে পুব আকাশের বুক চিরে লাল সুর্য ওঠা,শেষ বিকেলের দিগন্ত জোরা সূর্যাস্তের দৃশ্য হৃদয়কে প্রাণবন্ত করে তোলে।এছাড়া পাখির কলকাকলীতে মুখরিত করে প্রাণ, রয়েছে নানা ধরনের পাখ-পাখালি। এখানে আছে কয়েক প্রজাতির গাছ।
সমুদ্রের আচরে পরা ঢেউ সারি সারি গাছ মনে নতুন উদ্যম যোগায়।
আরো আছে বিভিন্ন শামুক জিনুক প্রমূখ।
এই নয়ানাভিরাম স্পট টি পটুয়াখালী রাঙ্গাবালী উপজেলায় বঙ্গোপসাগরের পাদদেশে মৌডুবী ইউনিয়নে অবস্থিত।
সোনারচরঃ-
বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে আবির্ভূত হওয়া সৌন্দর্যের লীলাভূমি সোনারচর। উওর-দক্ষিণের এই দ্বীপটি দেখতে ডিমের মতো গোলাকার,ভোরবেলার সোনালী আলো যখন দ্বীপে পরে তখন দ্বীপটা অনেকটা সোনালী রঙের থালার মতো মনে হয়।বালুর উপর সোনালী আলো পড়ায় বালিকনাগুলো যেন কিচকিচ করে মনে হয় কাচা সোনার প্রলেপ ঢেলে দেওয়া হয়েছে দ্বীপটিতে।
আর এ বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারনে দ্বীপটিকে এ নামে নামকরন করা হয়েছে।
দ্বীপটির যেকোনো প্রান্তে দাড়িয়ে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয় দেখা যায়।
এ মনোমুগ্ধকর দ্বীপটি রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমন্তাজ ইউনিয়নের আওতাধীন,
এখানে রয়েছে নানা রকমের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, রয়েছে ৫ হাজার একরের বিশাল বনভূমি।দেখা মিলে হাজার হাজার জেলের সাথে সমুদ্রের টাটকা মাছের সমারাহ মিলে দ্বীপটিতে,পৌষ-মাঘ এ মৌসুমে এখানে বিভিন্ন মাছের শুটকি পাওয়া যায়।দুর থেকে দ্বীপটিতে তাকাতেই চোখে পরবে সারি সারি লাল কাঁকরার বিচারন।
বনবিভাগের সংশ্লিষ্টদের মতেঃ অসংখ্য হরিণ ও বানর রয়েছে সোনারচরে,আরো আছে বুনো মোষ,শুকুর, মেছো বাঘ প্রভৃতি এগুলো হয়তো বনাঞ্চল এর খুব কাছাকাছি গেলে চোখে পরে।
এছার আরো রয়েছে দেশি প্রজাতের নানা রঙের পাখি, পাখির সারি সারি সমারাহ সোনারচরের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।
সোনরচরে রাত্রি যাপনের মতো এখনো তেমন কোন আবাসন ঘরে ওঠে নি।রয়েছে বনবিভাগ একটি ক্যাম্প,কিছুটা কষ্ট হলেও পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। তাছারা চাইলে সন্ধার সূর্যাস্ত দেখে ইঞ্জিন চালিত নৌকা বা ট্রলারে করে ৩০ মিনিট পথ পারি দিয়ে যেতে পারেন চরমোন্তাজ এ, এখানে রয়েছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্যাপ বাংলাদেশ সহ থাকার কয়েকটি স্থাপনা,আছে বেশ কয়েকটি হোটেল ও।
Leave a Reply