শামিমা নাসরিন শিমুল
সহকারী শিক্ষক
ছোট পাথাইলহাট সরকারি প্রাঃবিদ্যালয়,সাঁথিয়া, পাবনা।
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যানকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।
সভ্যতার বিকাশে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সমান অবদান রেখে এসেছেন। সময়ের সাথে বরাবরই মেয়েরা নিজেদের অংশগ্রহন নিশ্চিত করেছে। বিশ্বায়ন ও প্রযুক্তির হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে পুরো বিশ্ব। আমদের জীবনযাপন সম্পূর্ণ ভাবে প্রযুক্তি নির্ভর। নব প্রযুক্তি আইসিটি ছাড়া চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
আগে যেমন পড়ালেখা না জানলে মূর্খ বলা হত বর্তমানে আইসিটি জ্ঞান ছাড়া অবস্থা অনেকটা তেমনি । নেপোলিয়ান বলেছেন আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও আমি একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দিবো, উক্তিটি অনুসরণ করে বর্তমান সময়ের চাহিদা অনুযায়ী বলতে পারি আমাকে আইসিটি জ্ঞান সম্পন্ন একটি মা দাও আমি তোমাদের একটি ডিজিটাল জাতি উপহার দেবো।
মেয়েদের আইসিটি ব্যবহারের গুরুত্ব :
তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নারীকে তার অধিকার রক্ষায় যেমন এগিয়ে নিতে পারে তেমনি তার ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে। আইসিটি জ্ঞান সম্পন্ন একজন নারী শিক্ষিত হলে সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে পারে। বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় দেশের উন্নয়নে আইসিটি খাতের উন্নয়ন ও নারীর অংশগ্রহনের বিকল্প নেই।
ডিজিটাল যুগের সাথে তাল মেলাতে বিশ্বের বিশ্বের সব দেশই আইসিটির সাথে সখ্যতা গড়ে তুলছে। আশার কথা বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই।
প্রযুক্তি ব্যবহারের করে মেয়েরা নিজেদের আত্মবিশ্বাসী সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সামাজিক বিভিন্ন বাধার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার জন্য গড়ে তুলছে। বর্তমানে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে আইসিটির ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। মেয়েরা আজ ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে যাবতীয় কাজ করতে পারছে বিশেষ করে ২০২০ করোনাকালীন সময়ে লেখাপড়া, বিনোদন,চিকিৎসা সহ বিভিন্ন সুযোগসুবিধা গ্রহন করেছে।
বর্তমান সময়ে নারীরা ২৪ ঘন্টার ই অনলাইনের মাধ্যমে সেবা পাচ্ছেন । কিন্তু বর্তামানে নারীরা বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের গবেষনায় দেখা যায়। শহরের প্রায় ৫২ ভাগ অভিযোগ আসে মেয়েদের কাছ থেকে যাদের বেশির ভাগ বয়স ১৮-৩০ এর মধ্যে। শতাংশ হিসাবে ৭৪ শতাংশ নারীরা ফেসবুকের
মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইলের শিকার হচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েও লাভ হয় না।
বাংলাদেশে ২০০৬ সালে প্রথম সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ আইন করা হয় এবং ২০১৩ সালে সংশোধন করা হয় । অনুমতি ছাড়া কারও ছবি তোলা বা ভিডিও করলে দশ বছরের কারাদণ্ড ও অনধিক দশ লক্ষ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
আইনের পাশাপাশি সবাইকে সচেতন হতে হবে। কোন নারী ব্ল্যাকমেইল বা হয়রানির শিকার হলে হেল্প লাইনে ফোন দিতে পারে ০১৭৬৬৬৭৮৮৮৮। ২৪ ঘন্টা হেল্প লাইন চালু থাকে এছাড়া ৯৯৯ ফোনে দিয়েও প্রশাসনের সহায়তা নিতে পারে।
যেকোন কিছুর ভাল এবং মন্দ দিক থাকে। গত পাঁচ বছর পৃথিবীতে তথ্যের পরিমান দ্বিগুন হয়েছে। আইসিটির ব্যবহার করে নারীরা বিশ্ব জয় করতে চলছে।
সচেতনভাবে আইসিটি ব্যবহার করে মেয়েরা নিজেদের নিরাপদ রেখে চতুর্থ শিল্পায়নের বিপ্লবে নিজেদের শামিল করে পঞ্চম শিল্প বিপ্লবে আমাদের মেয়েরা পুরুষের পাশাপাশি সামনের সাড়িতে দাড়িয়ে নেতৃত্ব দিবে এ আশা করা যেতেই পারে।
Impressed
Really fantastic writing
Go Ahead Madam.
Thank you so much
অসাধারণ সুন্দর লিখনি,ম্যাডাম। নারী সমাজের আইসিটি শিক্ষার গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার লেখায় নারীদের বর্তমান বিশ্বে আইসিটি শিক্ষায় দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করবে। এগিয়ে যান, দোয়া ও শুভকামনা নিরন্তর।