তাওহীদ হাসান (উসামা)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েও অর্থের অভাবে অভয়নগরের অদম্য ৪ মেধাবী শিক্ষার্থীর ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দরিদ্র পরিবারের মেধাবী এ ৪ শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাজ। দারিদ্রতার সাথে লড়াই করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া মেধাবী এ ৪ শিক্ষার্থী হলেন, উপজেলার বারান্দি গ্রামের আব্দুল হালিম সরদারের মেয়ে আকলিমা খাতুন, দিঘলিয়া গ্রামের আব্বাস লস্করের মেয়ে তাসরিন সুলতানা ও আঃ রশিদ মজুমদারের মেয়ে মিম খাতুন, বারান্দি গ্রামের মৃত রমজান মোল্যার ছেলে রিয়াদুল ইসলাম। তারা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ ইউনিটে চান্স পেয়েছে।
অভয়নগরের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠগুলোর অন্যতম পায়রাহাট ইউনাইটেড কলেজ থেকে তারা মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসি পরিক্ষায় আকলিমা ও তাসরিন গোল্ডেন এ প্লাস এবং মিম রিয়াদুল এ প্লাস পেয়ে কৃতিত্তের সাথে উত্তির্ণ হয়। জানা যায়, রিয়াদুল ইসলাম তার চাচার পরিবারে থেকে দারিদ্রতার সাথে লড়াই করে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে মেধা তালিকায় ২০৭৪ তম স্থান অর্জন করে। এদিকে মামার পরিবারে বেড়ে ওঠা মেধাবী আকলিমা মেধা তালিকায় ৪৩৬তম, তার ভর্তি নিয়ে চিন্তিত তার মা। তাসরিন ও মিম মেধা তালিকায় যথাক্রমে ৬৮৫-১১২৪ তম, তাদের দুজনের বাবা কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ত।
সন্তানের সাফল্যে তারা খুশি হলেও লেখাপড়ার খরচ ও ভর্তির টাকা কিভাবে জোগাড় হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাদের। গতকাল বুধবার সকালে এ ৪ শিক্ষার্থী হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, আমাদের তিলে তিলে জমানো স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারলে। পায়রাহাট ইউনাইটেড কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম ইকবাল দৈনিক নওয়াপাড়াকে জানান, বারান্দি ও দিঘলিয়া গ্রামের হত দরিদ্র পরিবারের এ ৪ শিক্ষার্থী অত্যন্ত মেধাবী। তারা এসএসসি ও এইচএসসি তে প্লাস গোল্ডেন এ প্লাস প্রাপ্ত। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে আমাদের কলেজ তথা অভয়নগরের মুখ উজ¦ল করেছে। তবে তাদের আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সমাজের বিত্তবানরা যদি আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ায় তবে তারা ভবিস্যতে দেশ ও মানুষের কল্যাণে বিশেষ অবদান রাখতে পারবে। তাদের সকলের স্বপ্ন প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি করা।
Leave a Reply