নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইল বাধাঘাঁট দূর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি অসীম কাপুড়িয়া ও সাধারন সম্পাদক তাপসের বিরুদ্ধে প্রতারনা, টাকা আত্নসাতসহ জীবননাশের হুমকির প্রতিবাদে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৫ জুলাই সোমবার বিকালে খুলনা প্রেসক্লাবে খুলনা বাটিয়াঘাটার কুমারবাড়ি টেরাকোটা (পোড়ামাটির টাইলস) কারখানা কতৃপক্ষ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনের কুমারবাড়ি টেরাকোটা কারখানার পরিচালক শামীম আশরাফ শেলী তার লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, নড়াইল বাধাঘাট দূর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি অসীম কাপুড়িয়া ও সাধারন সম্পাদক তাপসের সাথে দূর্গা মন্দির নির্মাণের জন্য দূর্গাসহ বিভিন্ন দেব দেবীর মুখ ও নানা ডিজাইনের ১হাজার বর্গফুটের টেরাকোটা সরবরাহের জন্য ৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার চুক্তিপত্র সাক্ষরিত হয়।
চুক্তি অনুযায়ী এককালীন অগ্রীম ২লক্ষ টাকা প্রদানের কথা থাকলেও দূর্গা মন্দির কমিটি টাকার সম্যসার কথা জানিয়ে কাজ সম্পন্ন করার অনুরোধ করে এবং বলে মন্দিরের নামে জেলা প্রশাসন,জেলা পরিষদ,সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়,ধর্ম মন্ত্রণালয়,ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা অনুদান আসছে, টাকা নিয়ে সমস্যা হবে না।
ধর্মীয় স্থাপনার কাজের কথা বলায় সরল বিশ্বাসে আমরা চুক্তি মোতাবেক সকল টেরাকোটার কাজ সম্পন্ন করি।মন্দির কমিটি অর্থ সংকটের অজুহাত দেখিয়ে এককালীন অগ্রীম ২ লক্ষ টাকা নির্মাণ চলাকালে ৬ ধাপে পরিশোধ করে।
মন্দিরের নির্মাণ কাজ শেষ করার পর বাকী টাকা নিয়ে মন্দির কমিটির সভাপতি অসীম কাপুড়িয়া ও সম্পাদক তাপসের প্রতারণা শুরু হয় ।
অসীম কাপুড়িয়া ও তাপস আমাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়,ফোন করলে রিসিভ করে না। এক পর্যায়ে নড়াইলে এসে দেখা করে পাওনা টাকা চাইলে অসীম কাপুড়িয়া ও তাপস টাকা না দিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।
অথচ মন্দিরের নামে জেলা প্রশাসন,জেলা পরিষদ,সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়,ধর্ম মন্ত্রণালয়,ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা অনুদান নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন,এই প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে অনেক কষ্টে তিলে তিলে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানটি পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছে। আমাদের পাওনা টাকা আদায়ে আমরা সরকার ও প্রশাসনের সহযোগিতা চাই এবং এই ধর্ম ব্যবসায়ীদের কঠোর শাস্তি চাই।
Leave a Reply