ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন বলেছেন, উন্ননের জন্য কাউকে বলতে হয়না, বলার আগেই আমরা উন্নয়নমূলক কাজগুলো সম্পন্ন করে দেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঠাকুরগাঁওসহ সারা বাংলাদেশে আমরা উন্নয়নমূলক কাজগুলো করে যাচ্ছি। আমি আশা করছি আগামী এক বছরের ঠাকুরগাঁওয়ের অবশিষ্ট উন্নয়নমূলক কাজগুলো সম্পন্ন করা হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত জেলা কৃষক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে কৃষক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ। এসময় সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনসহ কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ, আওয়ামী লীগের ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষক লীগের সভাপতি হিসেবে পবারুল ইসলামকে ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ফরহাদ আহাম্মেদ চৌধুরী রিংকুকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দরা।
সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, বিএনপি-জামায়াত শুধু আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে, কিন্তু তারা আওয়ামী লীগের উন্নয়নকাজগুলো দেখতে পায় না। তারা ক্ষমতায় থাকাকালীন অবস্থায় দেশ কি অবস্থায় ছিল জনগণ তা জানে। অতএব সমালোচনা করলেও সেটি হতে হবে যৌক্তিক।
তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিদিন শুধু প্রেস কনফারেন্স করে প্রেসক্লাবে। প্রেস কনফারেন্স করা ছাড়া তার আর কোন কাজ নেই। ক্ষমতায় থাকাকালীন অবস্থায় একটা দৃশ্যমান উন্নয়নকাজও করতে পারেনি বিএনপি-জামায়াত।
মির্জা ফখরুল বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। তিনি তৎকালীণ সরকারের বিমান প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু দুঃখজনক তিনি ঠাকুরগাঁওয়ের বিমানবন্দর চালু করতে পারেনি। মির্জা ফখরুল ব্যর্থ হয়েছেন।
রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠাকুরগাঁও এসে যে সকল প্রতিশ্রুতিগুলো দিয়েছিলেন। তারমধ্যে সবথেকে বড় প্রকল্প হলো বিশ্ববিদ্যালয়। তারপরে ইপিজেড। আশা করছি অল্পসময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়, ইপিজেডসহ অন্যান্য প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবে রূপান্তর হবে।
কৃষক লীগের উদ্দেশ্যে সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, দেশকে বাঁচাতে হলে কৃষকদের বাঁচিয়ে রাখতেই হবে। কারণ বাংলাদেশ হলো কৃষিনির্ভর দেশ। কৃষকরা যাতে তাদের ফসল ভালো ভাবে উৎপাদন ও ফসলের ন্যায্যা মূল্য পায় সেজন্য কৃষক লীগকে কাজ করতে হবে।
সেই সাথে কৃষক লীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে সজাগ থাকতে হবে। কারণ একটি কুচক্রি মহল আওয়ামী লীগের সরকারের ভাবমূর্তিক্ষুন্ন করার জন্য গোপনে কাজ করছে। কোন ভাবেই যেন আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তিক্ষুন্ন না হয় সেদিক লক্ষ্য রেখে কাজ করতে হবে। সেই সাথে দলকে সুসংগঠিত করে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষকলীগের আহবায়ক পবারুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ফরহাদ আহাম্মেদ চৌধুরী রিংকুর সঞ্চালনায় উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি।
এছাড়াও বক্তব্য দেন, ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী, সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল লতিফ তারিন, আব্দুল মালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান বাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী, প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট অরুনাংশু দত্ত টিটো, সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম সরকারসহ আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগসহ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply