লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ-
প্রবাসী খোকন হোসেন এর বড় ভগ্নিপতির সাথে নিজের স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হবার কারণে সাজানো সংসার আজ ভেঙে চুরমার। এক শিশু সন্তানের ভবিষ্যৎ আজ অন্ধকার। মা বাবা না থাকায় খেয়ে না খেয়ে ভয়ে আর আতংকের মধ্যে দিয়ে দিন পার করছে তিন বছরের এক সন্তান শিশু বাচ্চা। এমন হৃদয় বেদারক ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের খলিফার বাড়ীতে ।
প্রবাসী খোকন হোসেন ৫ বছর আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করেন ভাটিয়ালপুর জমদ্দার বাড়ি ( নাগের বাড়ি ) এর মোঃ স্বপন হোসেন এর বড় মেয়ে সুমি আক্তার ( মিতু ) নামের এক সুন্দরী মেয়েকে।
ভালোই কাটছিলো খোকন আর সুমির সংসার জীবন । দুই বছর মধ্যে ঘর আলো করে আসে একটি ছেলে সন্তান। এছাড়াও খোকনের বড় ভগ্নিপতির রয়েছে দুটি ছেলে দুটি মেয়ে বড় মেয়ে বিয়ে দিয়েছে । বড় ছেলে প্রবাসে রয়েছে । এক ছেলে এক মেয়ে এখনো লেখা পড়া করছে।
খোকন বলেন সন্তান নেবার পরে সংসারের খরচো বাড়তে থাকে তাদের। সংসার চালানো অনেক কঠিন হয়ে পড়ে । তাই স্বামী স্ত্রী দু’জনেই মিলে সিদ্ধান্ত নেন ভালো আয় করার জন্য বিদেশে যাবেন খোকন । পরিবারে উন্নত জীবনের আশায় খোকন পাড়ি জমায় সৌদি আরব । সেখানে হাড়ভাংগা পরিশ্রম করে ভালোই রোজগার করতেন তিনি। নিয়মিত টাকা দিতেন তিনি।
তবে স্বামী বিদেশে থাকায় সে ব্যাক্তিগত জীবনে অনেক এলোমেলো চলাফেরা শুরু করেন। নিজের ইচ্ছামতো জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন সুমি আক্তার ( মিতু )। দুঃখ জনক হলেও সত্য সে তার স্বামীর আপন বড় ভগ্নিপতির মোঃ মনির হোসেন ( ৫৫ ) সাথে অনৈতিক পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন পরিবারের সকলের অজান্তে। দিন যত যায় ততই স্বামীর বড় ভগ্নিপতি মনির হোসেন এর সাথে ভয়ঙ্কর পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন।
বিদেশে থাকা খোকন দেশে আসার কথা তার স্ত্রী কে জানায় । এরি মধ্যে খোকন এর স্ত্রী সুমি আক্তার ( মিতু )খোকন এর বড় ভগ্নিপতির সাথে ১৭/১/২০২২/ তারিখে কাউকে কিছু না বলে প্রবাসী খোকন এর তিলে তিল করে জমানো ৭ লাখ টাকা ও ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে মনির হোসেন এর সাথে স্বামীর বাড়ি ছেড়েছেন সুযোগ বুঝে সকলের অজান্তে । সুমি তার পরিবারের সাথে ১০ দিন ধরে কোন যোগাযোগ করেনি। এমনকি পরকিয়ার সন্দেহকারি মনির হোসেন একি দিনে সেও উধাও হয়ে যায় । বাড়ি থেকে পালিয়ে যাবার পর থেকে মনির হোসেন ও সুমির সাথে অনেক চেষ্টার করেও যোগাযোগ করতে পারেনি তার সন্তানেরা ফোন দিলে ফোন বন্ধ রয়েছে।
এবিষয়ে প্রবাসী খোকন মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের কাছে বলেন আমার বড় ভগ্নিপতি কে অনেক সম্মান করতাম। কিন্তু সে আমার বিশ্বাস নষ্ট করে দিয়েছে। আমার প্রবাসের ইনকাম জমানো টাকা সহ আমার স্ত্রীকে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে। আমাদের সকলের অজান্তে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ সম্পর্ক বজায় রেখেছে আমার স্ত্রীর সাথে। আমি একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা আমার ভগ্নিপতি আমার সংসার আমার বোনের সংসার ভেঙে দিয়েছে আমি এর বিচার চাই । আমার এক শিশু সন্তান এবং আমার বোনের চার সন্তান এর জীবন নষ্ট করেছে সুমি ও মনির হোসেন ।
তথ্যঅনুসন্ধানের মাধ্যমে ও প্রবাসীর বাড়ি যেয়ে দেখা যায় বৃদ্ধ প্রবাসীর বাবা-মা শিশু সন্তান অসহায় জীবন যাপন করছে।
দক্ষিণ পশ্চিম বদরপুর খামার বাড়ির মনির হোসেন (৫৫) পিতা মোঃ আমান উল্লাহ এর বড় ছেলে। বাড়ি তে সরজমিনে গিয়ে মনির হোসেন এর ইস্কুল পড়ুয়া মেয়ে বলেন বাবা এমন কাজ করছে তা আমরা কেউ বিশ্বাস করতে পারছি না । আমরা বড় হয়েছি বাবার অনেক বয়স হয়েছে । আমার এখন সমাজে মুখ দেখাতে পারি না সবার মুখে এই সব কথা শুনতে হয় ।
এই বিষয়ে সুমি আক্তার ( মিতু ) এর বাবা মাঃ স্বপন হোসেন এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ চেষ্টা করেউ ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এই বিষয়ে প্রবাসী খোকন ও মনির হোসেন এর পরিবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। প্রবাসী খোকন এর পিতা মোঃ সফিক উল্যাহ রামগঞ্জ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন বলেও জানান। এই বিষয়ে প্রশাসন তাদের কে সহযোগিতা করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন ।
Leave a Reply