নাটোরের হয়বতপুরে একটি মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বে এক শিক্ষককে বেধড়ক মারপিট করে ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রাখার উঠেছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালু ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। এ সময় কালুর লোকজন শিক্ষার্থীদের মাদ্রাসা থেকে বের করে দিয়ে মুল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, তিনমাস আগে নাটোর সদর উপজেলার হয়বতপুর গোলাম ইয়াসিনিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি করা হয় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুম। ওই একই মাদ্রাসার সভাপতি প্রার্থী ছিলেন, স্থানীয় লক্ষীপুর- খোলাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালু। সভাপতির পদ নিয়ে মাঝে মধ্যে ওই মাদ্রাসায় বিশৃংঙ্খলা তৈরী হয়।
এরই অংশ হিসেবে বুধবার দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালুর নেতৃত্বে তার লোকজন মাদ্রাসায় ক্লাশ চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের ছবি তুলতে থাকে। এ সময় ওই মাদ্রাসার ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাফর বরকত বাধা দেয় প্রদান করে। এসময় চেয়ারম্যানের লোকজনের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওই শিক্ষককে বেধড়ক মারপিট করে চেয়ারম্যানের লোকজন।
এসময় অপর শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে মাদ্রাসার একটি শ্রেণী কক্ষে আটকে রাখে। পরে চেয়ারম্যানের লোকজন ওই শিক্ষককে শ্রেণী কক্ষে থেকে বের করে আবার মারতে মারতে ইউপি কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। এসময় ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিক্ষককে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রায় তিন মাসে আগে এমপি শিমুল সাহেব ডিও দিয়ে রিয়াজুল ইসলাম মাসুমকে মাদ্রাসার সভাপতি বানায়। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালু মাঝে মধ্যেই এসে মাদ্রাসায় বিশৃঙ্খলা তৈরী করে। এটা নিয়ে বারবার শিক্ষকরা সমাধান করার কথাও বলেছে। আজকে হঠাৎ করে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন মাদ্রাসায় এসে হট্টগোল সৃষ্টি করে। এসময় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক বাধা দিতে গেলে তাকে চেয়ারম্যানের লোকজন মারপিট করে। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে শ্রেণী কক্ষে আটকে রাখি। কিন্তু আবার চেয়ারম্যানের লোকজন সেখান থেকে বের করে মারতে মারতে তাকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যা
Leave a Reply