শাকিল আহমেদ,নড়াইলঃ
অবশেষে নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস কলেজে এলেন।
আজ সকালে অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস কলেজে এলে সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও জিবির পক্ষ থেকে তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।
এ সময় নড়াইল-১ আসনের এমপি কবিরুল হক মুক্তি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুস সালাম হাওলাদার, রেজিস্টার মোল্যা মাহফুজ, পরিচালক আইন সিদ্দিকুর রহমান, পরিচালক কলেজ মনিটরিং এন্ড ইভুলেশন রফিকুল আকবর, নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোস, কলেজের সভাপতি এ্যাডঃ অচীন কুমার চক্রবর্তী, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান, বিছালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেমায়েত হোসেন ফারুক, জিবি সদস্য, জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মির্জাপুর কলেজের এক ছাত্র ফেসবুকে ভারতের বিজেপির বহিস্কৃত নেত্রী মহানবী (সাঃ) কে কটুক্তিকারী নূপুর শর্মাকে প্রনাম জানিয়ে মির্জাপুর কলেজের এক ছাত্রের পোস্ট দেয়ার ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে ১৮ জুন এক সহিংস ঘটনার পর কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসসহ কলেজ ছাত্র রাহুলকে সবার সামনে জুতার মালা পড়িয়ে কলেজ থেকে বের করে দেয়া হয়। এর পর কলেজ বন্ধ করে দেয়া হয়। এঘটনায় ঐ ছাত্রের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয় এবং অধ্যক্ষকে জুতার মালা পরানোর ঘটনায় মির্জাপুর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুরসালিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১৭০-১৮০ জনের নামে মামলা দায়ের করে। এ মামলায় এ পর্যন্ত ৯ জন গ্রেফতার আছে। এরা সবাই এখন কারাগারে। এর মধ্যে মির্জাপুর কলেজের ছাত্রই রয়েছেন চারজন। এসব ছাত্ররা হলো মির্জাপুর গ্রামের মেজবাউর রহমানের ছেলে সাব্বির রহমান, আফজাল শেখের ছেলে রিপন শেখ রিপু, রহমান শেখের ছেলে রায়হান শেখ ও চুনখোলা গ্রামের আফসারুল কাজীর ছেলে জহিরুল কাজী।
এদিকে অভিযুক্ত ফেসবুকে পোস্টকারী কলেজ ছাত্র রাহুল এখন কারাগারে রয়েছে। এরপর দীর্ঘ ৩৬ দিন কলেজ বন্ধ থাকার পর গত ২৪ জুলাই কলেজ খুললেও অধ্যক্ষ কলেজে যাননি। এমনকি অধ্যক্ষ পার্শ্ববর্তী গ্রাম বড়কুলার নিজ বাড়িতেও ফেরেননি। তিনি নড়াইল শহর অথবা শহরতলিতে কোনো আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে ছিলেন। দীর্ঘদিন পর বুধবার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস কলেজে ফিরলেন।
Leave a Reply